স্পিরুলিনা একটি নীলাভ সবুজ শৈবাল। এটি প্রোটিনের একটি বড় উৎস ( শতকরা ৫৫-৭০ ভাগ)। এতে ৫৮মিগ্রা/১০গ্রাম আয়রন এবং ০.২মিগ্রা/১০০গ্রাম ভিটামিন বি১২ আছে। এটি ভিটামিন এ এর ভালো উৎস(১৪০০ আই.ইউ)। কেন একে ঔষধ বলা হয়? কারণ এটি আলসার, ডায়াবেটিস, অগ্ন্যাশেয়র স্ফীতি ও প্রদাহ, রাতকানা,অপুষ্টি ইত্যাদি রোগ ভাল করতে পারে।বাংলাদেশে স্পিরুলিনার যাত্রা শুরু হয় ফলিত উদ্ভিদবিজ্ঞানে। জীববিজ্ঞান গবেষণা বিভাগ, বাংলাদেশ কাউন্সিল অফ সাইন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিসিএসআইআর) এর গবেষণাগার ঢাকায় অবস্থিত। বিসিএসআইআরের বিজ্ঞানীগণ এই প্রযুক্তিকে ৬মাসের মধ্যেই প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।তবে তারা প্রযুক্তিটিকে একটু পরিবর্তন করেছিলেন । যেন এটি বাংলাদেশের জলবায়ু এবং অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। স্পিরুলিনা পৃথিবীর লোক প্রিয় খাবারগুলোর মধ্যে একটি। এটি বিভিন্ন পুষ্টিগুণ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।
স্পিরুলিনার উৎপত্তি এবং বাস্তুবিদ্যা
Arthrospira maxima এবং Arthrospira platensis এই দুটি প্রজাতিকে প্রথমে Spirulina গণের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। প্রচলিত নাম স্পিরুলিনা দ্বারা মূলত A. Platensis-র শুকনো বায়োমাস কে বোঝায়, এটি সায়ানোব্যাকটেরিয়া এবং প্রোকলো গ্রুপভুক্ত একটি সালোকসংশ্লেষী ব্যাকটেরিয়া। বৈজ্ঞানিকভাবে স্পিরুলিনা এবং Arthospira গণের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।Arthospira -র প্রজাতিগুলো ক্রান্তীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলের ক্ষারীয় ঈষৎ লোনা এবং লোনা পানি থেকে পাওয়া গিয়েছে। Arthospira গণের বিভিন্ন প্রজাতি গুলোর মধ্যে A.platensis পৃথিবীতে ব্যাপকভাবে বিদ্যমান এবং মূলত একে আফ্রিকাসহ এশিয়াতেও পাওয়া যায়। A.maxima ক্যালিফোর্নিয়া এবং মেক্সিকো তে পাওয়া যায়। বিভিন্ন ঐতিহাসিক কারণে Spirulina নামটি ব্যবহার করা হয়।
স্পিরুলিনা এর প্রজাতি
Arthospira গনের প্রজাতিগুলো মুক্তভাসমান, সুতার ন্যায় সায়ানোব্যাকটেরিয়া, যা হল পেঁচানো, নলাকার, বহুকোষীয় ট্রাইকোম।এরা প্রাকৃতিক ভাবে ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলের উচ্চ pH এবং উচ্চ ঘনমাত্রার কার্বনেট ও বাই কার্বনেটযুক্ত জলাশয়গুলোতে অনেক বেশি থাকে। A.platensis আফ্রিকা, এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকা তে পাওয়া যায় অপরদিকে A.maxima পাওয়া যায় শুধুমাত্র মধ্য আমেরিকাতে। বেশিরভাগ চাষযোগ্য স্পিরুলিনা ওপেন চ্যানেল রেসওয়ে পুকুরে উৎপন্ন হয় ,এতে লাগানো প্যাডেল হুইল ব্যবহার করে পানিকে আলোড়িত করা হয়। pH ৮.৫ বা তার চেয়ে বেশি এবং তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (৮৬ ডিগ্রী ফারেনহাইট) আশেপাশে হলে স্পিরুলিনার বৃদ্ধি অনেক ভালো হয়। এরা স্বভোজী, তার অর্থ হল এরা নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে এবং তাদের কোনো পোষক দেহের বা কার্বন উৎসের প্রয়োজন হয়না। বরং বৃদ্ধির জন্য শুধুমাত্র একটি খনিজ খাবার হলেই যথেষ্ঠ।
2 Comments
[…] Spirulina growers refer to the “medium” the algae grows in, but this really just means the water in the tank, with the mineral “food” added. After that fill your tank with filtered water, and add the mineral mix according to the package instructions. […]
[…] SPIRULINA Benefits in Managing […]